মতলবে মামলা সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের অভিযোগ

মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে হত্যা মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল, আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেছে বাদীপক্ষ এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় প্রতিপক্ষ।
দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামের সফিউদ্দিন প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান বলেন, মানছুর মোল্লা, আল-আমিন মাঝি, হানিফ ও ফারুক কাজীসহ তাদের সহযোগীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ির ঘর, জাকারিয়া হোসেন প্রধানের বসত ঘর ও শুক্কুর আলী প্রধানের বসতঘর ও মুদি দোকানে লুটপাট করে স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজ, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিভিন্ন মালপত্র লুটে নেয়।
সুমন আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলা করেছে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইন যদি আমরা দোষীসাব্যস্ত হয় আদালত আমাদের সাজা দিবে। আমরা মাথা পেতে নিব, কিন্তু তারা আমার বাড়িঘর দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে যে ক্ষতি সাধন করে আমার পরিবার ও আমার সাথে যাদের আসামি করা হয়েছে প্রত্যেকটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে, আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
জানা গেছে, গত ১৮ মে দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সজিবের সাথে সফিউদ্দিনের ছেলে সুমনের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়া হয়। পরোক্ষণে সজিবের পিতা আনোয়ার হোসেন তাদের ঝগড়া থামাতে যান। কিন্তু আনোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাত লাগে। প্রথমে মতলব, পরে চাঁদপুর ও সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া হয় আনোয়ার হোসেনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সুমন, কামরুল, ফরহাদ, খাজা আহমেদ, মাহবুব, শাহজাহান, আবুল বাশার, জুবরান, জাকির হোসেন, সফিউদ্দিন, সম্রাট, মারফত, আমির হোসেন, বেলায়েত প্রধান, আল-আমিন, শুক্কুর আলী ও শেখ সাদীসহ ১৭ জনকে বিবাদী করে চাঁদপুর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই মুক্তার হোসেন মাঝি।
এলাকাবাসী জানায়, মারামারি ঘটনায় জড়িত ছিল সফিউদ্দিনের ছেলে মো. কামরুল ও জাকির হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদ। বাকি ১৫ জন কেউ ঘটনার খবর পেয়ে এসেছে আবার কেউ বাড়িতে ছিল না। সুমনের পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রথমে যখন সজিবের সাথে ঝগড়া হয়েছে তখন সুমন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আনোয়ার হোসেনের সাথে ঝগড়া হয়েছে তখন সুমন ঘটনাস্থলে ছিল না। ঘটনার সময় সুমন বেড়িবাঁধের উপরে তার দোকানের সামনে ছিল।
স্থানীয় জনপ্রতনিধিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, একটা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে গেছে। অবশ্যই তার একটা সমাধান আছে। কিন্তু কারো বাড়িতে লুটপাট করলে সমাধান হবে না। যেহেতু মামলা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে সমাধান হবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১।