মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামে মামীর সাথে অভিমান করে ভাগনী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম শিলা আক্তার (১৫)। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। গত ৬ জুন সন্ধ্যায় মামির সাথে অভিমান করে দশম শ্রেণির ছাত্রী শিলা আক্তার আত্মহত্যা করে। রোববার সন্ধ্যায় মতলব পৌর সভার উত্তর দিঘলদী গ্রামের বারোঠালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিলা আক্তার তার নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। ঘটনার দিন বিকালে শিলা আক্তারের মামি তাদের ঘরের আসবাবপত্র এদিক-সেদিক নিচ্ছিলেন। এসময় শিলা আক্তারের পড়ার টেবিল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ায় মামি নুরুন নাহারের সাথে তার তর্ক-বিতর্ক হয়। সেই তর্কের জের ধরে রাগে অভিমানে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় সবার অজান্তে রান্নাঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। সন্ধ্যায় শিলাকে ঘরে না দেখে খুঁজতে বের হয় পরিবারের লোকজন। হঠাৎ করে শিলার নানী জাহানারা বেগম দেখতে পায় রান্নাঘরের আড়ার সাথে শিলার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লেকজন এসে তাকে (শিলা) মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে।
নানী জাহানারা বেগম বলেন, শিলা ও তার মামী নুরজাহানের মধ্য তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। তাই সে ক্ষোভে আত্মহত্যা করে। শিলা ছোটবেলা থেকেই এখানে থেকে পড়ালেখা করে আসছে। তার জন্মস্থান কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার বড় কুড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম আমির হোসেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৮ জুন, ২০২১।