সফিকুল ইসলাম রিংকু
মতলব পৌর এলাকায় বসবাস করলেও মনে হবে কোনো এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে তাদের বসবাস! বছরের ৬ মাস হাঁটু জল, আর বাকি ৬ মাস নৌকায় ভরসা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন ওই এলাকার অর্ধশত শিক্ষার্থী। মতলব পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে ধনাগোদা নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত কদমতলী গ্রামের একাংশে বসবাসরত মানুষ তাদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করছিলেন ঠিক এভাবেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৪শ’ মানুষের বসবাস। মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ওই এলাকায় বসবাসরত প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী বছরের ৬ মাস হাঁটু পানি এবং নৌকায় করে যাতায়াত করে। ভারী বর্ষা মৌসুমে অনেক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ থাকে তাদের। এছাড়া বসবাসরত মানুষ মতলব বাজারে আসা-যাওয়ার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌর এলাকার বাসিন্দা হয়েও সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছি আমরা। কয়েক বছর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১শ’ মিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হলেও আরো আড়াইশ’ মিটার পথ বাকি রয়েছে। জেলা পরিষদ, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে রাস্তার বিষয়ে বহুবার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর পাটোয়ারী বলেন, সড়ক যোগাযোগের জন্য গ্রামের রাস্তাটি একান্ত প্রয়োজন। বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে কোনো লাভ হচ্ছে না, কিন্তু আমরা পৌর ট্যাক্স প্রদান করে আসছি।
কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, বছরের ৬ মাস হাঁটু পানি আর নৌকা করে স্কুলের গণ্ডি পারি দিয়ে কলেজে উঠেছি। এখনো এটাই আমাদের ভরসা। তাই বলে কি আমরা সড়কপথে যাতায়াত করতে পারবো না?
এ বিষয়ে মতলব পৌরসভার বর্তমান পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন গ্রামে বসবাসরত বাসিন্দারা।
১০ নভেম্বর, ২০২৪।