মতলব উত্তরে ওয়াসিম হত্যা মামলার আসামিরা ৯ দিনেও আটক হয়নি

মনিরুল ইসলাম মনির

গভীর রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মাথায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ওয়াসিমকে হত্যার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে করে ওয়াসিমের পরিবার ও এলাকাবাসী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী আসামিদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে।

মতলব উত্তর উপজেলার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামে আপন চাচাতো ভাই ওয়াসিমকে হত্যা করে বালু মিজান, আজাদ, আরিফ, করিম, ভাগিনা কুদ্দুসসহ অন্যান্যরা ২৯ জুন রাতে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য ওয়াপদা খালে ফেলে দেয়।

পরদিন সকালে ওয়াসিমের মরহেদ উদ্ধার করে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। ওই দিনই মামলা ওয়াসিমের মা বাদী হয়ে মিজানুর রহমান ওরফে বালু মিজানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অন্যান্য আরো ২-৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলালক থাকায় তাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আফসার উদ্দিন মামলা নেয়ার পর থেকে আসামিদের আটকের জন্য জোর প্রচেষ্টা করছেন বলে জানান।

নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার জানান, রাতে ওয়াসিম ঘরেই ছিল। রাত আনুমানিক ১২টার পর তার ফোনে কল আসে, সে (ওয়াসিম) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে বলে মিজান ভাই আমাকে ফোন দিছে, কথা শোনার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাতেও তিনি ঘরে ফিরেনি। সকালে আজাদ এসে ওয়াসিমের খোঁজ করে। তারপর মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে ওয়াসিম খুঁজতে নামি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকে ওয়াসিমের লাশ খুঁজে পাই।

তিনি আরো বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই মিজানদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখছি। তারা আমার স্বামী ওয়াসিমকে কয়েকবার মারধরও করেছে।

নিহত ওয়াসিমের শিশু সন্তান, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী আসামিদের আটক করার দাবি জানিয়েছেন।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

০৮ জুলাই, ২০২০।