
মতলব উত্তর ব্যুরো
সারা বিশ্বের ন্যায় মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশও। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সমগ্র বাংলাদেশের জনগণকে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অসহায় গরীব ও শ্রমজীবী মানুষের কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাসে বিক্রি করা হবে। গত রোববার বিকেলে উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সততা স্টোর মাধ্যমে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুুস।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মূল্য তালিকা দেখে বক্সে টাকা রেখে যে যার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে প্রচেষ্টা সেটা আমরা অব্যাহত রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে জনগণ অধিকতর সচেতন হবে।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যেসকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যাবে চাউল (পাইজম) বাজার মূল্য ৪৪ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ৩৫ টাকা, সয়াবিন তেল বাজার মূল্য ১১০ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ৯১ টাকা, ডাল বাজার মূল্য ১৩০ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ১১০ টাকা, লবণ বাজার মূল্য ৩৫ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ২৫ টাকা, পেঁয়াজ বাজার মূল্য ৪৫ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ৩৩ টাকা, রসুন বাজার মূল্য ৮০ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ৬৫ টাকা, আলু বাজর মূল্য ২০ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ১২ টাকা, আটা বাজার মূল্য ৩৬ টাকা হ্রাসকৃত মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
এসব নিত্যপ্র্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাগন উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সেইসাথে এই কার্যক্রমকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য জোড় দাবি জানান।
পরে অতিথিবৃন্দ সর্বসাধারণের জন্য হাত ধৌত করার জন্য বিনামূল্যে ডেটল সাবান বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আওরঙ্গজেব, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ. কাইয়ুম খান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোমেন ভূঁইয়া, উপজেলা সমবায় অফিসার দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সজিব দাস, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, সিএ আমিনুল ইসলাম।