ভোরের চোখ,আন্তর্জাতিকঃ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। মমতা পাঠাচ্ছেন তার প্রতিনিধি।
আওয়ামী লিগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ক্ষমতাসীন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টপাধ্যায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় মমতা আসতে পারছেন না।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) পার্থ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দূত হিসেবে যাচ্ছি। তাঁর বার্তাই পৌঁছে দেব সে দেশে। সদ্ভাব আর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই যে উন্নয়ন সম্ভব, সে কথাই ও পার বাংলায় বলে আসব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সংগ্রামের কথাও জানাব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উঠলেন সামনে চলে আসে তিস্তার পানিবণ্টন প্রসঙ্গ। এই বিতর্কের জেরে এক সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ঢাকা যেতে রাজি হননি মমতা। তার আপত্তির কারণেই চুক্তি হয়নি বলে জানায় তখনকার কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে পার্থ বলছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ব্যক্তিগতস্তরে মধুর। তাই এর সঙ্গে তিস্তা চুক্তিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। তবে রাজ্যের স্বার্থের পরিপন্থী কোনও চুক্তি মানবেন না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি-ঢাকা একতরফা কোনও চুক্তি করলে তিনি রুখে দাঁড়াবেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ২২-২৩ অক্টোবর। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৭০০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
সম্মেলনে ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। সেই সম্মেলন থেকেই শেখ হাসিনা আরও তিন বছরের জন্য দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন।
এবারের সম্মেলনের আগে শেখ মুজিব পরিবার থেকে বেশ কয়েকজন নতুন কাউন্সিলর হয়েছেন। এর মধ্যে শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরের, শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ঢাকা মহানগর উত্তরের এবং শেখ হাসিনার জামাতা ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন ফরিদপুর জেলার কাউন্সিলর হয়েছেন।