রাফিউ হাসান হামজা
শাহরাস্তিতে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে দেবরের কোদালের কোপে ভাবির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা আড়াইটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের বরুলিয়া গ্রামের মিয়াজি বাড়ির মৃত মান্নান মিয়াজির ছেলে মো. আ. রহিম প্রকাশ সাদ্দাম (৩৩) তার আরেক ভাই প্রবাসী মো. সোহেল রানার নির্মাণাধীন বসতঘরের পিলারের গর্ত জোরপূর্বক মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলছিলেন। ওই সময় সোহেল রানার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩৩) ঘটনাটি ভিডিও কলে স্বামীকে দেখাতে উদ্যত হলে আ. রহিম তার হাতে থাকা কোদাল দিয়ে রুজিনার মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করে।
বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠালে মঙ্গলবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের শিশু পুত্র শাহাদাত হোসেন (৮) জানান, কাল সকালে সাদ্দাম কাকা মাকে কোদাল দিয়ে মেরেছে। নিহতের শাশুড়ি শরীফা খাতুন (৭৫) জানান, ঘটনার সময় আমি সাদ্দামকে বাঁধা দিতে যাই। এক পর্যায়ে রুজিনার মাথায় কোদালের আঘাত লাগে।
ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জানান, দেবরের কোদালের কোপে ভাবি আহত হওয়ার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পিতার পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূ নিহতের ঘটনায় পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা করেনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের মৃতদেহ ঢাকা থেকে এলাকায় আনার প্রস্তুতি চলছিলো।
উল্লেখ্য, নিহতের বাবার বাড়ি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের সোনাচোঁ গ্রামে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে।
০৮ মে, ২০২৪।