চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সামনে

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সামনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও কলেজ শিক্ষার্থীরা এসব কী খাবার খাচ্ছে। ফুটপাতের এসব ভেজাল খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অর্থাৎ কলেজ ও বিদ্যালয় ছুটি পর্যন্ত এক শ্রেণির অসাধু ভেজাল খাদ্য বিক্রেতা পচা ও বাসি খাবার বিক্রি করে থাকে।
উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সামনে। কলেজ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা এসব ভেজাল খাবার খেয়ে প্রতিনিয়তই অসুস্থ হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা পেটের অসুখে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাপস, কার্তিক, বিল্লাল, গফুর, সফিকসহ প্রায় ৮/১০ জন হকার ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে ঝাল মুড়ি, আচার, চপ, রোল, ফুসকা, বেলপুরি, রঙমিশ্রিত শরবত বিক্রি করে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা পেটের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব হকাররা ফুসকা ও বেলপুরি বিক্রি করে তেতুলের টক বলে। কিন্তু তারা টক তৈরি করে মেডিসিনের মাধ্যমে। যা মোটেও খাবর যোগ্য নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, ফুসকার ডাল টক হয়ে যায়। জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে লেবুর রস দেয়া হয়েছে। এসব ফুসকার ডাল কবে কার তা বিক্রেতারাও জানে না। রঙ আর সেগারিন মিশ্রন করে বাহারি আচার তৈরি করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হচ্ছে।
গত কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন নিজে অভিযানে নেমে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সব হকারদের উচ্ছেদ করেছিলেন। এর কিছুদিন যেতে না যেতে হকাররা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সে স্থানে পসরা সাজিয়ে বসেছে।
শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আবারও এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।