৫ দিন পর তাপমাত্রা আরো কমবে
স্টাফ রিপোর্টার
সারাদেশের মতো চাঁদপুর জেলাও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। একই সাথে বাড়ছে উত্তরাল বাতাসে কনকনে শীতের হিমেল হাওয়া। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় তীব্র শীতে কাঁপছে জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নদী উপকূলীয় এলাকার মানুষ তীব্র শীতে খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। শীত উপেক্ষা করে অনেক জেলে নদীতে মাছ আহরণ করতে নামতে পারছে না। রাতে ও ভোরে ঢাকা-চাঁদপুর লঞ্চ চলাচল করতে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও শ্রমজীবী মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছেন।
গত বুধবার রাত থেকেই শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে শ্রমজীবী মানুষদের আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, চাঁদপুরে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামি ৫ দিন পর তাপমাত্রা আরো নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার শহরের চৌধুরীঘাট এলাকায় দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি শীতের পোষাকের দোকানে নারী-পুরুষের ভীড়। চাহিদামত অনেকেই পরিবারের সদস্যদের জন্য শীতের পোষাক কিনছেন।
এইদিন ভোরে শহরের টিলাবাড়ী এলাকায় জেলেদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, গত কয়েকদিন শীত ও বাতাস বেড়ে যাওয়ায় অনেক জেলে নদীতে নামতে পারছেন না। বিশেষ করে যারা একটু বয়স্ক মানুষ তাদের জন্য এই শীতে নদীতে নেমে মাছ আহরণ খুবই কষ্টকর।
বিশেষ করে তীব্র শীতে ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষগুলো ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। অনাথ পথশিশু ভিক্ষুক আর অসহায় বয়োবৃদ্ধরা শীতের কষ্ট নিবারণের জন্য হাত পেতে বসে আছে। যদি কেউ শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে আসেন।
চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈকিত সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র তিবরণ করতে দেখা গেলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতাবস্ত্র কিনে নিচ্ছেন। এমন কথাই বলেছেন চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এলাকার কয়েকজন ফুটপাতের অসহায় মানুষ। প্রতিদিন চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ফুটপাত, রাস্তার মোড়, রেলস্টেশন এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শীতার্তদের কষ্ট বেড়ে চলেছে।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৫।