মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
সৌদিআরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কামরুজ্জামান (৩৫) নামের এক রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে তিনি মক্কা নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেরাম শরীফ মসজিদে মাগরিব নামাজ শেষে নিজ বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহত প্রবাসী কামরুজ্জামান হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলি গ্রামের হাজী বাড়ির মরহুম আলী আশ্রাফের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১২ বছর ও ৮ বছর বয়সি দুই ছেলে রেখে গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্বজনসহ নিকট আত্মীয়ের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের বড় ভাই মাহবুব হোসেন মামুন জানান, জীবিকার তাগিদে ও পারিবারিক স্বচ্ছলতার আশায় ২ বছর আগে মো. কামরুজ্জামান সৌদিআরবের মক্কায় যান। গত ২৯ অক্টোবর মক্কার হেরাম শরীমে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিজ বাসায় ফেরার পথে তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন।
এসময় দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মক্কার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ১১ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাংলাদেশ সময় গত শুক্রবার দিবাগত (শনিবার) রাত আনুমানিক ১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তিনি আরও জানান, ঋণের টাকায় কামরুজ্জামান বিদেশে গিয়েছে। অবুঝ ছেলে ২টি স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। এখনো ঋণের টাকা পরিশোধ হয়নি। এর মধ্যে সে এক্সিডেন্টেমারা গেলো। এখন কি করে ঋণ পরিশোধ করবো, আর তার স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে কিভাবে চলবে? এই বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়কুল পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, তাঁর (কামরুজ্জামান) পরিবার মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এসময় তিনি মরদেহ দেশের আনার বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন।
১০ নভেম্বর, ২০২৪।
