হাইমচরে চাল পাচারের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার
হাইমচর উপজেলার ৫নং হাইমচর ইউনিয়নের জেলে কার্ডের চাল জনতা কর্তৃক আটক হওয়া ঘটনায় তিন সদস্য কমিটি গঠন করার পরে তার সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমাকে আহ্বায়ক, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুর রশিদকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগমকে প্রদান করলে ঘটনা সত্যতা না থাকায় জেলেদের চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, হাইমচর ইউনিয়নের ১৮০ জন জেলে দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের এবং চরভৈরবী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বসবাস করেন। এদের মধ্যে ১৫ জন জেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে নদীর ওপাড়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চাল আনতে অক্ষম থাকায় স্ব-স্ব ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে নদীর পূর্বপাড় প্রেরণ করা হয়। তদন্ত রিপোর্টে আরো জানা যায়, জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের মাস্টার রোলে তাদের নামের তালিকার পাশে টিক মার্ক করা তালিকা পাওয়া গেছে। যা যাচাই-বাছাই করে চালের পরিমাণের সাথে জেলেদের কাছে বিতরণকৃত চাল সঠিক পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে হাইমচর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত সরকার জানান, হাইমচর ইউনিয়নের ১৮০ জন জেলে পূর্ব পাড়ে বসবাস করে। এদের মধ্যে ১৫ জন জেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় স্ব-স্ব ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তাদের চাল পৌঁছে দেয়ার জন্য ট্রলারে করে পূর্ব পাড়ে আনা হয়। একটি মহল ঈর্শান্বিত হয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং মিডিয়াকে ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চাল আটক করে। আগামি ইউপি পরিষদ নির্বাচনকে ইস্যু করে একটি চক্র আমার পিছনে উঠে পড়ে লেগেছে। যাতে করে দল ও সমাজের কাছে আমাকে হেয় করা যায়। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার মত কাজ করার মন-মানসিকতা আমার নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, চাল পাচারের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে চাল পাচারের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
২৯ অক্টোবর, ২০২০।