হাইমচরে থেমে নেই মধ্যচরের মাটি বিক্রির কাজ

হাইমচর ব্যুরো
হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নে থেমে নেই মধ্যচরের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাটি বিক্রির কাজ। মাটিখেকো চক্র নতুন করে পূনরায় রাতের আঁধারে ভ্যেকু ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ বাড়িয়ে বেশি পরিমাণে মাটি বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় এই মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো প্রকার আইনী ব্যবস্থা। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে ক্ষোভ। গ্রাম রক্ষায় স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে আসছেন।
তবে এই মাটি খেকোদের মূল হোতা চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের রনি মেম্বার। তিনি হাইমচর উপজেলাসহ চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন চরের মাটি কেটে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এতে কার হাত রয়েছে, এটি কারও জানা নাই।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েকদিন ধরেই নীলকমল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মাটি কেটে বিক্রি করছেন মাটি খেকো বিশাল চক্র। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল মাটি কাটার স্থানে আসার আগেই চক্রটি মাটি কাটার ভ্যেকুসহ সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়। ম্যাজিস্ট্রেট চলে আসার পর রাতেই এই চক্র মাটি কাটা শুরু করে। ঐ রাতেই স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রতন হাজি এলাকার লোকজন নিয়ে বাঁধা প্রদান করেন। পরদিন সকালে এই মাটি খেকো চক্রটি রতন হাজিকে ম্যানেজ করতে দুইটি স্প্রিড বোট নিয়ে তার কাছে আসেন। লোকজনের ধারণা রতন হাজিকে ম্যানেজ করেই তারা মাটি কাটবে। মাটি কাটার জন্য এই চক্রটি আরও বেশি সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রতন হাজি বলেন, চাঁদপুর থেকে দুইটি স্পিড বোটে করে কয়েকজন লোক মাটি কাটায় সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি তাদের সরাসরি বলে দিয়েছি- নীলকমল ইউনিয়নের এক টুকরো মাটি আমরা কাউকে বিক্রি করতে দেবো না।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি ফারুক মোল্লা বলেন, মাটি বিক্রির মূল হোতা কল্যাণপুর ইউনিয়নের রনি মেম্বার। আমরা তাদের মাটি কাটতে নিষেধ করে দিয়েছি। তারা গতকাল রাতে মাটি কাটা শুরু করলে রতন হাজি বাঁধা প্রধান করেন। বুধবার সকালে তারা মাটি কাটার জন্য রতন হাজির কাছে আসেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ইউনিয়নের কোন নেতাকে প্রতিবাদ করতে দেখেনি। কেনো তারা প্রতিবাদ করে না সেটা আপনারা বুঝে নেন। তারা সবাইকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটছে।
এ বিষয়ে নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সউদ আল নাসের কাছে জানতে চাইলে, মাটি কাটা এই চক্রটিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঘটনাস্থলে এসে মাটি কাটতে নিষেধ করেছি। নীলকমল ইউনিয়নে আর এক টুকরো মাটিও কোন মাটি খেকোকে কাটতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ মাটি কাটে আমি তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

০৯ নভেম্বর, ২০২২।