হাইমচরে মায়ের মেজবানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলের মৃত্যু

হাইমচর ব্যুরো
হাইমচরে মায়ের মৃত্যুর তৃতীয় দিনের মেজবানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সিলিং ফ্যানের তারের সংস্পর্শে আলগী উত্তর ইউনিয়নের ছোট লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোরশেদ বরকন্দাজ (৩৫) সোনা মিয়া বরকান্দাজের ছেলে। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই কুদ্দুছ বরকান্দাজ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।
জানা জায়, নিহত খোরশেদ বরকন্দাজ পানের ব্যবসায়ী ছিলেন। কিছুদিন আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছিলো। তার রুহের মাগফেরাত কামনায় ও পারিবারিক ডায়রিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্য বাড়ির সকল লোকজন মিলে, ইমামদের দিয়ে খতম পড়ানোর জন্য প্যান্ডেল সাজিয়ে ছিলেন। দোয়া শেষে প্যান্ডেলের কাপড় সরাতে গিয়ে পাশে থাকা লিকেজ সিলিংফ্যান তার গায়ে পড়ে যায়। পরে তার বড় ভাই কুদ্দুস বরকন্দাজ এগিয়ে আসলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। পরে ২ জনকে আহত অবস্থায় হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোরশেদকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। কুদ্দুস বরকন্দাজকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে ছুটে যান আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী ও ইউপি সদস্যরা। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্যধারণ করার জন্য বলেছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, নিহত খোরশেদ চাঁদপুর সদর চান্দ্রা বাজারে পানের দোকানে ব্যবসা করতেন। তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। তার মায়ের কবর জিয়ারত ও দোয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন। সবসময় সবার সাথে হাসি খুশি থাকতেন। আমরা তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছি না। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসলো।
নিহতের স্ত্রী তানজিলা বেগম বলেন, পরিবারের উপার্জনক্রম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এখন আমি তাকে হারিয়ে নিরুপায় হয়ে গেলাম। আমার সন্তানদের কে দেখবে। সংসার চালানোর মতো আর কেউ থাকলো না।
হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, বিদ্যুৎ সংস্পর্শে সিলিং ফ্যানের সাথে যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত হয়েছি।

১৭ এপ্রিল, ২০২২।