হাজীগঞ্জ ব্যুরো
হাজীগঞ্জে কন্যাকে বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টার দায়ে মো. গোলামুর রহমান এক বাবাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিয়ের মেহমানদের জন্য রান্নাকৃত খাবার এতিমাখানায় পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শুক্রবার দুপরে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাউকরা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কনের বাবাকে এ কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া।
ওই কন্যা শাহরাস্তি উপজেলার ইছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী (১৬)। এ দিন বিকালে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বৈশাখী বড়ুয়া। এ সময় তিনি তাৎক্ষনিক বিয়ে বন্ধ করে ওই কন্যাকে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা করেন এবং উপস্থিত স্থানীয় ও এলাকাবাসীকে বাল্যবিবাহের কুফল এবং সরকারি বিধি-নিষেদের বিভিন্ন দিক জানান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাউকরা গ্রামের মো. গোলামুর রহমানের মেয়ের সাথে একই গ্রামের শহীদ উল্যাহর ছেলের সাথে শুক্রবার বাদ জুমআ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কন্যার বয়স কম হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বৈশাখী বড়ুয়া বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮নং ধারা অনুযায়ী কনের বাবাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান এবং বিয়ে উপলক্ষে মেহমানদের জন্য রান্নাকৃত খাবার স্থানীয় একটি এতিমখানায় পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল জানান, জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী কনের বয়স ১ বছর ৬ মাস কম হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং কনের বাবাকে ৭ দিনের জেল ও খাবার এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা মজমুদারসহ সরকারি কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।