হাজীগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

স্বাধীনতার অর্জনকে কুক্ষিগত করতে দেওয়া হবে না
………. ইঞ্জি. মমিনুল হক

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ
হাজীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আয়োজনে বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে ও র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।
তিনি তার বক্তব্যে ৩১ ডিসেম্বরের প্রেক্ষাপট নিয়ে বলেন, রাজনৈতিক ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। মতাদর্শগত ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনভাবে সংরক্ষিত থাকবে। কোন অবস্থাতেই বিগত সরকারের মতো স্বাধীনতাকে কুক্ষিগত করা যাবে না। তারা বিএনপি-জামায়াতকে রাজাকারের ট্যাগ লাগিয়ে স্বাধীনতার অর্জনকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলো। এখনো যদি স্বাধীনতার অর্জনকে যারা কুক্ষিগত করতে চায়, তা হতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার যে অংশ ব্যবহার করে দুঃশাসন, দেশ ও জাতির উপর নিপিড়ন চালানো হয়েছে, সেসব অংশ সংশোধন কিংবা বাতিল করতে হবে। আমরা আর বৈষম্য চাই না। যে বৈষম্য দূরীকরণে গত জুলাই-আগস্টে রক্ত দিতে হয়েছিলো। সে বৈষম্য দেশে ফিরে আসুক, তা হবে না। আমরা স্বাধীনতার অর্জনকে ভুলণ্ঠিত করতে দিবো না। আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। তা বাস্তবায়ন হলে কোন ধরনের বৈষম্য থাকবে না।
ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বিএনপি স্যাক্রিফাইস করেছে। গত ১৭ বছর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চাকরি পায়নি। তাদের কাজ-কর্মও করতে দেওয়া হয় নাই। বৈষম্যের শিকার হয়ে তারা সোনালী অতীত হারিয়েছে। আপনাদের নেত্রী, আপনাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা কিন্তু আপনাদের বৈষম্যের শিকার হতে দিবো না। যারা দোষী, তাদের বিচার রাষ্ট্র করবে। আমরা কারো ক্ষতি করতে দিবো না।
ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের প্রতি কোন অভিযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে ছাত্রদলের নামে কোন অভিযোগ নেই। তারা কোনো অপকর্মের সাথেও জড়িত নয়। তারা দেশ ও জাতীর কল্যাণে এবং বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে। যদি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ দখল বানিজ্য কিংবা পরিবহন ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে, তাদের নাম দিন। আমরা সাংগঠনিক ও আইনিভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু ইউছুফ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ ইমাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্ট প্রমুখ।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল খায়ের মজুমদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ নাফের শাহ, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেন দুলাল, সদস্য সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. ইমান হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ আলম হিরা, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রদলের কয়েক সহস্রাধীক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

০২ জানুয়ারি, ২০২৫।