হাজীগঞ্জে ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত, শিক্ষক পলাতক

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে এক শিশু শিক্ষার্থীর (ছাত্রী) স্পর্শকাতর স্থান হাত দেয়া এবং ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মো. শাহজালাল নামের মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন শিশুটির মা। গত ৫ অক্টোবর তিনি এই অভিযোগটি (মামলা নং- ৬) দায়ের করেন। এই ঘটনায় শিশুটি ইতোমধ্যে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে হাজীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শাহজালাল (৩০) শরীয়তপুর জেলার সখীপুর উপজেলার হামিদ মুন্সি কান্দি গ্রামের ইউসুফ মালের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের নেছারাবাদ ছালেহিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অভ্যন্তরে একটি নূরাণী ও হেফজ মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। যা স্থানীয় এক প্রবাসীর অর্থায়নে পরিচালনা হতো।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এই নূরাণী শাখার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ শাহজালাল দীর্ঘদিন ধরে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। ঘটনার দিন গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে মাদরাসার হেফজ রুমে শিশুটিকে ঢেকে নিয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে শিক্ষক শাহজালাল। শিশুটির মা অভিযোগপত্রে দাবি করেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার একটি পক্ষ উঠে-পড়ে লেগেছে।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ ছালেহিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নাজিমুদ্দিন জানান, মাদ্রাসার অভ্যন্তরে হেফজখানাটি হলেও এটি মাদ্রাসারা অন্তর্ভুক্ত নয় এবং অভিযুক্ত শিক্ষক আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক না। তাই এর দায়-দায়িত্বও আমাদের নয়। এই হেফজখানা স্থানীয় একজন প্রবাসীর অর্থে পরিচালিত হতো বলে তিনি জানান।
হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, ইতোমধ্যে শিশুটির জবানবন্দি নেয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের জন্য আমাদের টিম কাজ করছে।
১৫ অক্টোবর, ২০২০।