মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
মাত্র ৭০ হাজার টাকার অভাবে পঙ্গু হওয়ার পথে আবদুল্লাহ আল শিশির। সে উন্মুক্ত বিশ্বাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পারিবারিক ও সংসারের প্রয়োজনে চাকুরী করছেন গার্মেন্টেসে। সম্প্রতি তার পায়ে ভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে পা ফুলে গেছে। চিকিৎসারা বলেছেন, তার পায়ের রগ ব্লক হয়ে গেছে। অপারেশন না করলে পা ফেটে পঙ্গু হয়ে যাবে সে। তার চিকিৎসার জন্য মাত্র ৭০ হাজার টাকার প্রয়োজন।
আবদুল্লাহ আল শিশির হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নেই। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় চাকরি করতে হয় গার্মেন্টসে। পড়ালেখার ইচ্ছে থাকলেও পারিবারিক ভরণ-পোষণে নিয়মিত পড়ালেখা সম্ভব নয়। তাই চাকরির পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে সে। কিন্তু পড়ালেখা তো দূরের কথা ভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ার পথে শিশির।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিধবা মা ও ভাই-বোনের পড়ালেখাসহ খাবার জোগাতে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন আব্দুল্লাহ্ আল শিশির। তার সামান্য আয়ে পারিবারিক অভাবের মধ্যে সুখ ছিল। সম্প্রতি তার দু’পা ফুলে ফেঁপে যেতে শুরু করে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হলেও কোন উপকারে আসেনি। পরবর্তীতে ধার-দেনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, শিশির ভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত অর্থাৎ পায়ের রগ ব্লক হয়ে গেছে। অপারেশন করতে ৭০ হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তার বিধবা মায়ের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছেনা শিশিরের। আর চিকিৎসা না হওয়ায় তার পায়ের ফুলা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তাকে বিশেষ এক ধরনের মোজা পড়ে থাকতে হচ্ছে।
এদিকে সময়মতো অপারেশন না হলে, পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে শিশিরকে। অপরদিকে অসুস্থতার কারণে চাকরি করতে না পারায় পারিবারিক অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। তাই বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। মাত্র ৭০ হাজার টাকা হলে চিকিৎসা হবে শিশিরের। আর বেঁচে যাবে শিশিরসহ একটি পরিবার।
আসুন বাবাহারা (এতিম) আবদুল্লাহ আল শিশিরের পাশে দাঁড়াই। প্রসারিত করি সহযোগিতার হাত। শিশিরের চিকিৎসার্থে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৬৪৩-৫২৪০১৪ (মা) এই নম্বরে বিকাশ করতে পারবেন।
১১ এপ্রিল, ২০২১।