হাতিয়ার দুর্গম অঞ্চলে মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের বিনামূল্যে চক্ষুশিবির


প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল ও জার্মানীর আন্ধেরী হিলফীর আর্থিক সহযোগিতায় প্রতি বছরের মতো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২২টি চক্ষুশিবির করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৩টি চক্ষুশিবির সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৭,৭৯০ জন রোগীকে রিফ্রেকশন ও বর্হিঃবিভাগ চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ দেয়া হয়েছে এবং ৯৩৬ জন রোগীর চোখে ল্যান্স প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি চক্ষু শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলাধীন দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার অডিটোরিয়ামে। নোয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন, হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় এনজিও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ৫ দিনব্যাপী চক্ষু শিবিরটিতে ডা. মো. হানিফুর রহমানের নেতৃত্বে ২,২২০জন রোগীকে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার অডিটোরিয়ামে বহিঃর্বিভাগ চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের অপারেশন থিয়েটারে ১১৫ জন রোগীর চোখে ল্যান্স প্রতিস্থাপন করে অপারেশন পরবর্তী প্রয়োজনীয় ঔষধ ও কালো চশমা দেয়া হয়েছে। দুই দিনব্যাপী অপারেশন কার্য সম্পন্ন করেন মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. রাশেদুর রহমান তালুকদারসহ অন্যান্য সহকর্মীবৃন্দ।
সফলভাবে অপারেশনকৃত রোগীদের আগামি ১৬ জানুয়ারি হাসপাতালের অপর একটি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ফলোআপ করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের দুর্গম এবং প্রান্তিক অঞ্চলে চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে গত ১৫ অক্টোবর পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলাধীন ছোট মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলাধীন মুসানগরস্থ আনন্দ পাঠশালায় দু’টি চক্ষুশিবির সম্পন্ন করা হয়েছে। দাতা সংস্থা জার্মানীর আন্ধেরী হিলফীর সহযোগিতায় ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্গম অঞ্চলে হাসপাতাল কর্তৃক আরো চক্ষুশিবিরি আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে।