মক্কার মসজিদুল হারামে রোবট স্যানিটাইজার

সাগর চৌধুরী
মক্কা মসজিদুল হারামে প্রতিদিন কয়েক দফা জীবাণুমুক্তকরণ করা হয়। তাছাড়া দর্শনার্থী ও ইবাদতকারীদের জন্য রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা। কিন্তু রোবট দিয়ে স্যানিটাইজার ছিটানো নতুন সংযোজন। রোবট স্যানিটাইজার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন হারামাইনের প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. আব্দুর রহমান সুদাইস। জীবাণুমুক্তকরণে রোবটটি সক্রিয়ভাবে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে থাকে।
এদিকে হারামাইন কতৃপক্ষ জানিয়েছে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে মক্কা মসজিদে হারাম নামাজের জন্য ৭৫% উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আজ থেকে দৈনিক ১৫ হাজার মানুষ উমরাহ পালনের সুযোগ পাবেন। নামাজের জামাতে ৪০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
একই দিন মদীনায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) রওজা শরীফ জিয়ারতের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে, উভয় মসজিদে গমনেচ্ছুদের ‘এটমানার’ এপস্ এ নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চ ২০২০ থেকে পবিত্র উমরাহ’র কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব সরকার। মহামারীর কারণে এবার মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ হজও সীমিত আকারে পালিত হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে আসায় গত ৪ অক্টোবর সকাল থেকে উমরাহ পালনকারীদের জন্য মসজিদে হারাম খুলে দেওয়া হয়। ওই দিন থেকে দৈনিক ছয় হাজার মুসল্লি উমরাহ পালন করছেন। আপাতত কাবা শরীফ স্পর্শ ও হাজরে আসওয়াদে চুমো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উমরাহ যাত্রীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। মসজিদে হারামের প্রবেশ পথ এবং ভেতরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে থার্মাল ক্যামেরা। যাতে নিয়মিত তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এসব নিয়ম মেনেই উমরাহ পালনকারীরা উমরাহ সম্পন্ন করছেন।
২০১৯ সালে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ উমরাহ পালন করেছেন। প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের ২০ লাখের বেশি হজ করার সুযোগ পেলেও এবার সৌদি আরবে বসবাসরত মাত্র কয়েক হাজার মুসল্লি সে সুযোগ পেয়েছেন। পবিত্র উমরাহ’র কার্যক্রমকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সৌদি সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপ ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। এসময় একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার মুসল্লি উমরাহ’র জন্য মসজিদে হারামে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
তৃতীয় ধাপ ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বিদেশ থেকে আসা উমরা যাত্রীদের মক্কার মসজিদে হারামে ঢুকতে দেয়া হবে। তখন প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ উমরাহ পালন এবং ৬০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপে করোনা মহামারি দূর হওয়ার পর মসজিদে হারাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
হারামাইন কর্তৃপক্ষ বলছে পবিত্র মসজিদ দু’টিতে আসা ইবাদতকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ২০২০।