চাঁদপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির

শাহ্ আলম খান
চাঁদপুর শহরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। তবে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ২০ টাকা কমে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম কমেছে ডিম ও সবজিরও। অন্যদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল, চাল, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। সম্প্রতি চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেস বাজার, বিপণীবাগ বাজার, নতুন বাজার ও পালবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি এক কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলার ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো ৭০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এদিকে, শীতকালে স্বাভাবিকভাবে লাউয়ের দাম কম থাকে কিন্তু নতুনবাজার দেখা যায় উল্টো। প্রতিটি লাউয়ে ১০ টাকা দাম বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি ২০ টাকায় এবং ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, হালিতে ৫ টাকা কমে সবজি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।
এছাড়া দাম কমেছে নতুন আলু ও পেঁয়াজের। কেজিতে ১০ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে, পুরানো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ২০ টাকা দাম কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে।
অপরদিকে পাল বাজারের মুদির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৫ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, খোলা ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ডিমের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে চিনি, চাল, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।
ওয়ারলেস বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮৫০ টাকায়, গরুর মাংসের দাম ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়।
বিপণীবাগ বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি এক কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৩২০ থেকে ৫৮০ টাকায়, মৃগেল ২২০ থেকে ২৭০ টাকায়, পাঙ্গাস ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, কাতল ২৭০ থেকে ৬৮০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৪০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ২২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, তেলাপিয়া মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়, সিলভার কার্প ১৭০ থেকে ২৪০ টাকায়, কৈ মাছ ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাল বাজারের ডিম বিক্রেতা আলী আকবর বলেন, ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। এখন লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। তবে আগামি দু’একদিনের মধ্যে বাজারে দাম বাড়তে পারে। পরিবেশ ও পরিহনের কারণে ডিমের দাম বাড়বে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২১।