হাজীগঞ্জে খামারি ও পালিত পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ

ঘাটতি নেই, থাকবে উদ্বৃত্ত!

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
সোমবার (১৯ জুন) থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। তবে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও তেমন একটা বিক্রি হতে দেখা যায়নি। এ বছর হাজীগঞ্জে কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১৭ হাজার, যার বিপরীতে পশু আছে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। ঘাটতি দেড় হাজার। তবে কাগজে-কলমে ঘাটতি থাকলেও সেটি ঘাটতি নয় বলে জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, পশুর ঘাটতির কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ, কোরবানির পশুর হাট শুরু হলে, পাশর্^বর্তী উপজেলাসহ খামারি, পালিত, নিয়মিত ও সিজনাল ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে হাটে আসেন। এতে করে পশুর ঘাটতি থাকার কথা নয়, বরং উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, আগের বছরগুলোতে দেখা গেছে, জেলার বাইরে থেকে প্রচুর কোরবানির পশু আসে। যার ব্যতিক্রম এ বছরও হবে না।
এদিকে কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসায় ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির পশু আসতে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জের বেশ কয়েকজন সিজনাল ব্যবসায়ীও গরু এনেছেন বলে জানা গেছে। এ বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোরবানীর পশুর হাটের জন্য ২৬টি নির্ধারিত স্থানের জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বছর হাজীগঞ্জে প্রায় ১৭ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গরুকেই কোরবানির পশু হিসাবে কাউন্ট করা হয়েছে। চাহিদার মধ্যে উপজেলায় খামারী ও গৃহপালিত পশু রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০। আপাতত দৃষ্টিতে চাহিদার চেয়ে যোগানের ঘাটতি দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে পশুর ঘাটতি হবে না। উপজেলা ও জেলার বাইরের পশু দিয়ে ঘাটতি পূরণ হবে।
এদিকে খামারি ও কয়েকজন গৃহপালিত পশু পালনকারীর সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর পশু খাদ্যের দাম অনেক বাড়তি ছিল। তাতে কোরবানির পশুর দাম চড়া থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর ন্যায্যমূল্যে পশু বিক্রি করতে না পারলে তাদের খরচের টাকা উঠবে না। অপরদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের মালামালের দাম বাড়তি থাকার কারণে অনেকে কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলেও অনেকে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, কোরবানীযোগ্য পশুর কোন ঘাটনি নেই। খামারি ও গৃহপালিত এবং উপজেলার বাইরে থেকে আসা পশু দিয়ে চাহিদা ও সাপ্লাই সমান হবে।

২০ জুন, ২০২৩।