মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, নির্বাচনে ভোট দেবো’ এই প্রতিপাদ্যে হাজীগঞ্জে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়। এ কাজে উপজেলা ১৪৬ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ৩০ জন সুপারভাইজারসহ মোট ১৭৬ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ জানুয়ারি হতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে এবং বিগত হালনাগাদে ভোটারযোগ্য ভোটার যারা বাদ পড়েছেন এবং অন্য যেকোন কারণে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি, তারা ভোটার হতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ১৪৬ জন তথ্যসংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। এসময় মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকা হতে বাদ দেয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের এ কার্যক্রম আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন জানান, ১ আগস্ট ২০০৮ বা তার আগে যাদের জন্ম হয়েছে কিন্তু কোনো কারণে ভোটার হতে পারেনি, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে সব ভোটার মারা গেছেন এবং তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি, তাদের কর্তন করার মাধ্যমে এ তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
তথ্য সংগ্রহকারীদের সঠিক তথ্য প্রদানের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না। একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। সুতরাং কেউ যেন দুইবার ভোটার না হয়।
উল্লেখ্য, ভোটার হতে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন), এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি) লাগবে।
এছাড়া ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে তার মধ্যে হলে, নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সাথে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে। জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে এবং স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
২১ জানুয়ারি, ২০২৫।