সফিকুল ইসলাম রিংকু
মতলবে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এমন মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে মাটি কাটা বন্ধ রাখতে বলা হলেও এখন রাতের আঁধারে চলছে মাটি কাটার কাজ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মতলব পৌরসভার পশ্চিম বাইশপুর এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশানের দক্ষিণে ধনাগোদা নদীর তীরে প্রায় ৩২ একর ভূমি সরকারি খাস হিসেবে রেকর্ডভুক্ত আছে। সরকারি ওই খাস জমির পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি ক্রয়ের চুক্তি করে এলাকার মোহাম্মদ আলী বেপারী।
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির পাশাপাশি সরকারি খাস জমি থেকে দেদারছে মাটি কেটে গত কয়েক বছর যাবত ইটভাটায় বিক্রি করছে সে। সরকারি জমির মাটি বিক্রির বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে জানালে তিনি তাৎক্ষণিত ব্যবস্থা নিতে পৌর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আনিছুর রহমান মুন্সিকে নিদের্শ প্রদান করেন। পৌর ভূমি অফিস থেকে সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত মাটি কাটা বন্ধে মৌখিক আদেশ দিলেও থামেনি মাটি কাটা। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে রাতের আঁধারে সরকারি খাস জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তাদের কাছে মাটি বিক্রি না করলে রাতের আঁধারে বোরো ফসলি জমির মাটি তারা কেটে নিয়ে যায়। তাই উপায় না পেয়ে তাদের কাছে বিক্রি করতে হয়। বহু বছর ধরে মোহাম্মদ আলী ও তার ভাইয়েরা মাটি কেটে অবৈধভাবে পরিচালিত মতলবের ইট ভাটাগুলোতে মাটি বিক্রি করছে।
মাটি বিক্রির বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি কোনো সরকারি জমি থেকে মাটি কাটছি না। জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে তারপর কাটছি। আমার নামে মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে।
মতলব পৌর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান মুন্সী বলেন, সরকারি জায়গার মাটি কে বা কারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে- অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাবেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি জায়গার মাটি বিক্রির কোন ধরনের সুযোগ নেই। অভিযোগ পেয়ে ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। সীমানা নির্ধারণ করার আগে মাটি কাটতে নিষেধ করে দিয়েছি।
১২ মার্চ, ২০২৫।