স্টাফ রিপোর্টার
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এবং যাত্রীরা যেন হয়রানি না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের ২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক সেখানে তদারকি করছেন। এছাড়া কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সেবামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এসব কাজের তদারকি করতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আকস্মিক পরির্দশনে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এসময় তিনি পুরো লঞ্চঘাট ঘুরে দেখেন এবং যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া তিনি পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন লঞ্চগুলো ঘুরে দেখেন। এসময় লঞ্চের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। যাথীসেবায় যেন কোনো ধরনের অবহেলা বা যাত্রীরা যেন কোন প্রকার হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, যাত্রী নিরাপত্তায় এখানে আমরা কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্সের ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি জেলা পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ স্কাউটস্রে সদস্যদেরও রাখা হয়েছে, যেন লঞ্চ থেকে নেমে যাত্রীরা কোন ধরনের হয়রানির মধ্যে না পরেন। অন্য সময়ের থেকে এবারে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। আশা করি এই ঈদে হয়তো যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে, কিন্তু আগের মতো এবার যাত্রীরা হয়ারানির শিকার হবেন না।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। আমরা কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের কাছে কোন ধরনের অভিযোগ করেন নাই এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থাটা আরো একটু উন্নত করতে পারি, তাহলে হয়তো আরো ভালো হতো। লঞ্চ এসে ঘাটে থামলে একটু যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, এটার ব্যাপারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। যেহেতু আজ থেকে মানুষজন ঈদ উপলক্ষে আসতে শুরু করেছে সেহেতু ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরো একটু উন্নত করবো।
এসময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত দেবনাথ ও দিপংকর বাড়ৈ, বিআইডব্লিউটিএ’র পোর্ট অফিসার বশির আলী খান, নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবাল হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ মার্চ, ২০২৫।