এস এম সোহেল
চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তার সাথে চেম্বার অব কমার্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চাঁদপুর চেম্বার কার্যালয়ে চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইণ্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, চেম্বার পরিচালক মাইনুল ইসলাম কিশোর, আমিনুর রহমান বাবুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, পরেশ চন্দ্র মালাকার, গোপাল চন্দ্র সাহা, আলহাজ লিয়াকত পাটওয়ারী, শিহাদ শাহরিয়ার আখন্দ, রেজওয়ানুর রহমান রিজু পাটওয়ারী, ব্যবসায়ী আলহাজ নাজমুল আলম পাটওয়ারী, আলহাজ মহব্বত হায়দার চৌধুরী, আলহাজ ইউনুছ মিয়া বাদল, মোশাররফ হোসেন মানিক, গোবিন্দ সাহা, দুলাল কাজী, পৌর মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসী আক্তার প্রমুখ।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর নদীবন্দরের সমম্বয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, শুল্ক আদায়কারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আবদুস ছাত্তার।
মতবিনিময় সভায় আলহাজ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম বলেন, মালামাল লোড-আনলোডের ক্ষেত্রে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা ডাল, চাল, ময়দা, ধান, গমসহ ভূষামাল আমদানী হয়ে থাকে পুরানবাজার পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ। একই পর্যায়ে তা আবার চাঁদপুর থেকে নৌ অথবা সড়কপথে হাজীগঞ্জ, লক্ষীপুর, কচুয়া, মতলব, নোয়াখালী, হাতিয়া, রামগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, হাইমচরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তা রপ্তানী হয়ে থাকে। কিন্তু নদীপথে আমদানি ও রপ্তানীকৃত এসকল মালামাল লোড-আনলোড করতে গিয়ে শ্রমিকদের অনেক ঝুঁকি পোহাতে হয় প্রয়োজনীয় পন্টুনের কারণে। অনেক শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা আমদানী-রপ্তানী করে থাকেন। অথচ আমরা নিয়মিতভাবে সরকারের রাজস্ব দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি মালামাল আমদানী রপ্তানীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ বাজার সংলগ্ন পুরানবাজার অংশে কয়েকটি পন্টুন স্থাপনে চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং চাঁদপুর পুরানবাজার অংশে নৌবন্দরের নদী সংলগ্ন স্থানে, কোন অবৈধ স্থাপনা যাতে নির্মাণ করা না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, অবৈধ কোন স্থাপনা বা নির্মাণ কার্যক্রমকে চাঁদপুর চেম্বার নেতৃবৃন্দ সমর্থন করেন না। যদি কেউ এ ধরনের অবৈধ নির্মাণ করে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও তিনি বন্দর কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভা শেষে চাঁদপুর নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. কায়সারুল ইসলামসহ অন্যরা নদীর পাড় পরিদর্শন করেন এবং অবৈধ স্থাপনা সড়াতে দোকানীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রদান করে হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর যদি কোন অবৈধ স্থাপনা সড়ানো না হয় তাহলে ঐ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এদিকে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল হাওলাদার পুরানবাজার এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ ও চেম্বার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতিয়ার পাড়ে অবৈধভাবে ৩৫টি দোকান রয়েছে। সবগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। এসব অবৈধ দোকান থেকে বিআইডব্লিউটিএ ও চেম্বার উৎকোচ নিয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা মাসিক টাকা নেয়, এদের কাছ থেকে।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২।