ছেংগারচর-নতুন বাজার সড়কে কালভার্টের বেহাল দশা

মনিরুল ইসলাম মনির
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর-নতুন বাজার সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন কালভার্টের উপরের বড় অংশ নিয়ে ধসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাথর সিমেন্টের ঢালাই সরে গিয়ে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। কালভার্টটিতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে ছেংগারচর-নতুনবাজার সড়কটি অন্যতম। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত-শত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন গাড়ি চলাচল করে। ব্যস্ততম সড়কের এ কালভার্টটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উপরের বড় অংশ ধসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে।
২০১৯ সালে এ কালভার্টটির উপরের বড় অংশ ধসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন কোনো রকম মেরামত করে যানবাহন চলাচল সচল রাখা হয়। বর্তমানে কালভার্টটিতে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ ও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলেও এখন পর্যন্ত মেরামত কিংবা নতুনভাবে নির্মাণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে কালভার্টটিতে ইজিবাইক দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় কালভার্টের উপরের অংশ সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ছেংগারচর-নতুন বাজার সড়কের সংস্কার কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদার দ্রুত কাজ শুরু করবেন। কিন্তু সড়কটি সংস্কার প্রকল্পের টেন্ডার হলেও কালভার্টটি সংস্কার কিংবা নতুন নির্মাণে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি।
পথচারী শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, এ উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ সড়কটি ব্যবহার করছে। এই কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচলেও রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভার শরীফ জানান, ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটি পার হতে হচ্ছে। সড়কটির কালভার্ট সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল মান্নান বেপারী জানান, কালভার্টটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, ছেংগারচর-নতুন বাজার সড়কের সংস্কার কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ কালভার্টটি পৌর এলাকায় পড়েছে। পৌরসভা থেকে কালভার্টটি করে দিবে বলার কারণে সংস্কারের জন্য টেন্ডারের আওতায় আনা হয়নি। পৌরসভা কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
২৭ অক্টোবর, ২০২০।