হাজীগঞ্জ বাজারে আগুনে ১৫ দোকান ভস্মীভূত

১০ কোটি টাকার ক্ষতি

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি গোডাউনসহ ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টায় হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেনসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাতে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের গোডাউন অথবা ক্বারী সফি উল্যাহর দোকান ঘরে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। এর মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় একশ’ ফুট উচ্চতায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়েন। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় চাঁদপুর সদর, কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের এই চারটি ইউনিট, ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততোক্ষণে কয়েকটি গোডাউনসহ কমপক্ষে ১৫টি দোকানঘর ও কয়েক কোটি মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।
এদিকে আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মুক্তা এন্টারপ্রাইজ, আয়না ঘর, মেসার্স অনিল সাহা, পাটওয়ারী ফার্মেসি ও ফেরদৌসের ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারীরা। তাদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
এছাড়াও তফু ও মান্নানের কুটির শিল্পের দোকান, রাশেদ গাজী ও সুমনের পোষা প্রাণি এবং খাদ্যের দোকান, জাহাঙ্গীর স্টোরসহ আরো কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাজার ব্যবসায়ীর সমিতির সভাপতি আসফাকুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন জানান, এমনিতেই করোনা মহামারিতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত। তার মধ্যে আগুন লেগে কয়েকজন ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রুবেল হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় । তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত চিহ্নিত ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আমরা কাজ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, জেলা প্রশাসক আগুনের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।

০৩ আগস্ট, ২০২০।