হাজীগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ শ্রীঘরে

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুজন হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে শ্রীঘরে (জেলহাজত) পাঠিয়েছে আদালত। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এর আগে শুক্রবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ (নং-৭) দায়ের করেন।
পরে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন রাতেই অভিযুক্ত বৃদ্ধ সুজন হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষক সুজন হোসেন ওই ইউনিয়নের বড়কুল গ্রামের সেকান্তর হাজী বাড়ির বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ৫/৭দিন পূর্বে শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে সুজন হোসেন। পরে শিক্ষার্থী তার মাকে জানালে, বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাতে স্থানীয়ভাবে সালিসি বৈঠকে বৃদ্ধ সুজন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তিনিই আবার অস্বীকার গেলে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারে সহযোগিতা করে বৃদ্ধের ছেলে ওমর ফারুক। পরে শনিবার দুপুরে বৃদ্ধ সুজন হোসেনকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে এবং ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
এদিকে ধর্ষক সুজন হোসেন বলেন, সালিসি বৈঠকে আমাকে মারধর করায় ভয়ে আমি ধর্ষণের কথা শিকার করেছি। তবে তার ছেলে ওমর ফারুক সংবাদকর্মীদের জানান, সঠিক তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ বিষয়ে নির্যাতিত স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঘটনা শোনার পর বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আসি। আমি সুজন হোসেনের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, অভিযুক্ত বৃদ্ধ সুজন হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ ও চাঁদপুর সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২।