অনবরত বৃষ্টিতে নাকাল হাজীগঞ্জবাসী

কাচা সড়কগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় চলাচলে ভোগান্তি

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্

দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নাকাল হাজীগঞ্জবাসী। বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের কারণে গত শুক্রবার দুপুর থেকে কখনো থেমে থেমে, কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে শনিবার রাত ৮টার পর থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত এবং রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলাবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং ঘর থেকে বের হতে পারেনি।

অনবরত এই বৃষ্টিপাতের কারণে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। যারা বৃষ্টির মধ্যে ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছেন তাদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। এছাড়া গ্রামের কাচা রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামাঞ্চালের মানুষের। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করে আবহাওয়া অফিস। এরপর থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি এবং দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন বন্দরে নিরাপদে আশ্রয় নেয়।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিন ধরে হাজীগঞ্জেও থেমে থেমে, কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ধারাবাহিক এই বৃষ্টির কারণে বাজার এলাকায় মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। যানবাহনও কম দেখা গেছে সড়কে। বিশেষ করে ছোট যানবাহনের চালক, হকার, ফেরিওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভিক্ষুক ও ভাসমান বেদে পরিবারসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েন।

মানিক হোসেন নামের একজন অটোচালক চালক জানান, আমি ভাড়ায় অটো চালাই। মালিককে প্রতিদিনের জমা দিতে হয় চারশ’ টাকা। কিন্তু গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে নিজের বেতন তো দূরের কথা গাড়ির জমার টাকাই উঠাতে পারি নাই।

জামাল হোসেন নামের একজন ভ্রাম্যমাণ ঝালবুট (সিদ্ধ ছোলা) বিক্রেতা জানান, আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাত্র ১৭০ টাকা বিক্রি করেছি। লাভ-তো দূরের কথা, চালান (মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয়) উঠাতে পারি নাই।

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১।