স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩ জুলাই চাঁদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম শুরু করে।
জানা যায়, একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে লক্ষীপুর জেলা জজ আদালতের ড্রাইভার নূর হোসেন তার স্ত্রীসহ নিজ নামে ৮১ লাখ ৩৭ হাজার ৪শ’ ৫ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ গত মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বাদী হয়ে মো. নূর হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক, সজেকা, চাঁদপুরের মামলা নং-০১।
আসামি নূর হোসেন পাটওয়ারী লক্ষীপুর জেলা সদরের যাদৈয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ উল্যা পাটোয়ারীর ছেলে। সে লক্ষ¥ীপুর জেলা জজ আদালতের একজন ড্রাইভার।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর ই/আর নং-১৩/২০১৭ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় পরিলক্ষিত হয় যে, উক্ত ই/আর ভূক্ত অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সুবেল আহমেদ, সহকারী পরিচালক, দুদক, সজেকা, নোয়াখালীকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বর্ণিত আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৮১ লাখ ৩৭ হাজার ৪শ’ ৫ টাকার সম্পদ অর্জন করায় মামলা রুজুর সুপারিশসহ ৩০/০৫/২০২২ইং তারিখে কর্তৃপক্ষ বরাবরে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার স্মারক নং-০০.০১.৫১০০, ৬২৪, ০১, ০০৪.১৬/লক্ষ¥ীপুর/৪৫৬৮১, তারিখ-১৪/১২/২২খ্রি. মূলে মামলা রুজুর জন্য অনুমোদন প্রদান করে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল লক্ষীপুর বর্তমানে দুদক সজেকা চাঁদপুরের আওতাধীন হওয়ায় চাঁদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৩।