চাঁদপুরে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার কার্যক্রম শুরু ১০ এপ্রিল

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতিয়ার নদীর তীরে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলছে। আগামি ১০ এপ্রিল এই মেলার কার্যক্রম অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
এই প্রথমবারের মতো চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতিয়া তীরভূমিতে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন মেলার মঞ্চে থাকছে চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক ও নাট্যসংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়া সাহিত্যিকদেরও এই মেলায় ব্যাপক কর্মকান্ড রয়েছে। ইতোমধ্যে সংগঠনগুলো ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ থাকছে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। মেলার কার্যক্রমের প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখছেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক রোটা. মাহবুবুর রহমান সুমনসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী ও বর্তমান ক্রীড়া সম্পাদক এমআর ইসলাম বাবু। সাংবাদিকতার পাশাপাশি এই তিনজন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিতি থাকায় প্রেসক্লাব থেকে তাদের তিনজনের উপরে এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ইতোমধ্যে মেলার ৮০ ভাগ কার্যক্রম সমাপ্তের পথে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী ও ক্রীড়া সম্পাদক এম আর ইসলাম বাবু জানান, আমরা শতভাগ নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে মেলার আয়োজন করছি। চাঁদপুরের শিল্প-সংস্কৃতির কর্মকর্তা কর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এই মহান কর্মযজ্ঞ করার অনুপ্রেরণায় মাসব্যাপী বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছি। স্টল সীমিত হওয়ায় স্টলের চাহিদা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দেশের বিভিন্ন জেলার মেলার আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে মেলার জন্য স্টল আনার চেষ্টা করছি। মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর শাহ সুফি সুলেমান লেংটার মাজারের ওরশের মেলায় দোকানিদের সাথে আলোচনা রক্ষা করে চলছি। আমাদের মেলায় দোকানিরা আসতে শুরু করেছে। তবে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সারা দেশে কম-বেশি ছোটখাটো মেলা রয়েছে, এগুলো শেষ হলে দোকানি চাঁদপুরের বৈশাখী মেলায় আসবে। আমরা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সব সদস্য ও চাঁদপুর পৌরসভার সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মেলা চলাকালে প্রতিদিন থাকবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য একাধিক রাইডস স্থাপন করা হচ্ছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের এসব রাইটস শিশুদের বিনোদন দিবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

০২ এপ্রিল, ২০২৪।