এস এম সোহেল
সারাদেশে একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ভোকেসনাল (বিএমটি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩টি কলেজ থেকে ৫০৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে ৬২৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬১১ জন। পাসের হার ৯৭.৯২%।
এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৪ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২০২ জন। পাসের হার ৯৯.৫০%। মানবিক বিভাগে ১৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪৮ জন। পাসের হার ৯৪.৮৭%। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৬১ জন। পাসের হার ৯৮.৪৯%।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ৬৪৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬০৭ জন। পাসের হার ৯৩.৫২%।
এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৮ জন। শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। মানবিক বিভাগে ২৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫৬ জন। পাসের হার ৯৫.১৭%। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২২৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯৮ জন। পাসের হার ৮৭.২২%।
চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ভোকেসনাল (বিএমটি) পরীক্ষায় ৩৬২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ জন শিক্ষার্থী এবং বিএমটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৯.৪৯% এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ভোকেসনাল (বিএমটি) পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ।
এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৩৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩২ জন। পাসের হার ৯৯.২৫%। মানবিক বিভাগে ১৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২৭ জন। পাসের হার ৯২.৭০%। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৬৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ নেই। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৯ জন। পাসের হার ৬১.৯০%।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ভোকেসনাল (বিএমটি) পরীক্ষায় ২৯ জন অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাসের হার শতভাগ।
চাঁদপুর ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৩৪৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ৩০৩ জন এবং অকৃতকার্য ৪৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৭.৫৭%।
এমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৬০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫৭ জন। মানবিক বিভাগে ১৫৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১৩ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ জন।
চাঁদপুর পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৯৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮১.৪৭%।
এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৬১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫৬ জন। পাসের হার ৯৬.৮৯%। মানবিক বিভাগে ২৯৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪২ জন। পাসের হার ৮২.৫৯%। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৬৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ নেই। উত্তীর্ণ হয়েছে ৯০ জন। পাসের হার ৬১.৬৪%।
চাঁদপুর ফরক্কাবাদ কলেজ থেকে ২৩৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ১৫১ জন এবং অকৃতকার্য ৮৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী।
জিলানী চিশতী কলেজ থেকে ৯১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ৫৫ জন এবং অকৃতকার্য ৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী।
বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫১০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ২৯৪ জন এবং অকৃতকার্য ২০৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী।
খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ১৯ জন এবং অকৃতকার্য ২৯ জন। জিপিএ-৫ নেই।
চাঁদপুর রেসিডেন্সিয়াল কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮৮ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য ৫০ জন এবং অকৃতকার্য ৩৮ জন। পাসের হার ৫৬.৮২%।
চাঁদপুর সিটি কলেজ থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ১৩ জন এবং অকৃতকার্য ২৭ জন। জিপিএ-৫ নেই।
কামরাংগা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে কৃতকার্য ২২ জন এবং অকৃতকার্য ২১ জন। জিপিএ-৫ নেই।
বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমী থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩২ জন এবং অকৃতকার্য ১৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন শিক্ষার্থী।
আল-আমিন একাডেমীর অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আল-আমিন একাডেমীর আগের ঐতিহ্য এখনো অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফলাফল অর্জনে আমাদের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে। এ ফলাফল অর্জনে অভিভাবকরাও কৃতিত্বের অধিকারী। সর্বোপরি এই ফলাফলের জন্য আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামিতে যারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এখন থেকেই আপনারা আপনাদের সন্তানদেও প্রতি খেয়াল রাখবেন। তাহলে আরো ভালো ফলাফল করতে পারবে, বাবা-মায়ের পাসাপাশি কলেজের মান উজ্জ্বল করতে পারবে। ভবিষ্যতে আরো ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সে ক্ষেত্রে পুরো চাঁদপুরবাসীর পূর্ণ সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪।