বাগাদীতে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি

কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি

আল আমিন ছৈয়াল
চাঁদপুর সদরে কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ না করায় ৪০ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। গতকাল শনিবার সকালে সদর উপজেলা বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণসাখুয়া গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। গ্রামের বিশাল মাঠ জুড়ে ৪০ একরের উপরে কৃষি জমি রয়েছে। জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে কৃষকেরা হাতে হাত ধরে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যায়। জমিতে পানি না আসায় কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। দ্রুত পানির ব্যবস্থা করতে মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা জোর দাবি জানান।
এসময় আ. মান্নান, সোনা মিয়া, আলি আশ্বাদ, কাদির গাজী, আবেদ আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, পানি সেচের স্কিম ম্যানেজার মো. ফজলুর রহমান খানের গাফিলতিতে আজ কৃষকরা জমিতে পানি পায় না। ধানের চারা ও জমির ইজারা বাবদ তাদের অনেক টাকা ক্ষতি হবে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণসাখুয়া স্কিম ম্যানেজার মো. ফজলুর রহমান খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি রাস্তা নির্মাণের কারণে কয়েকশ’ গজ ড্রেন মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। ড্রেনটি খনন করতে গেলে ঠিকাদার আমাকে বাঁধা দেয়। তারা বলে, কাজ চলমান অবস্থায় তাদের রাস্তা কাটা যাবে না। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি অফিসে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ইতোমধ্যে আমি পানির টাকা জমা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে বকেয়া বিল পরিশোধ করেছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং কৃষকদের উপজেলা নির্বাহী অফিসে লিখিত আবেদনের পরামর্শ দিয়েছি।
বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ঠিকাদার ও ইউপি সদস্যকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেভাবে পানির ড্রেন সচল করা যায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।
ঠিকাদার মো. রুবেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্কিম ম্যানেজারকে পাইপ দিয়ে পানি নিতে সহযোগিতার প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হননি। তিনি চান রাস্তার ভিতর দিয়ে ঢালাওভাবে পানি নিতে। এতে করে রাস্তার কাজের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে নিষেধ করি।

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।