মতলবের বিভিন্ন মসজিদে ইফতারের অন্য রকম পরিবেশ


মোজাম্মেল প্রধান হাসিব
ইফতার মানেই এক বেহেশ্তী পরিবেশ। রোজাদারের কাছে এ এক হীরন্ময় মুহূর্ত। সারাদিন রোজা রেখে ইফতার সামগ্রী সামনে এলে রোজাদার অনুভব করে এক স্বর্গীয় তৃপ্তি। এমনই সুন্দর ও পরিপাটি ইফতারের আয়োজন হয় মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে-মসজিদে।
প্রথম রোজ থেকেই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে নানা আয়োজনে সাজানো হয় ইফতারির বাহারি সব উপকরণ। এসব ইফতারিতে থাকে বুট, পিঁয়াজু, আলুর চপ, ডিমের চপ, পাকুরা, খেজুর, শরবত, বিভিন্ন ধরনের ফল, মুড়ি ইত্যাদি। কোথাও কোথাও আবার ইফতারিতে বিরিয়ানি বা খিচুড়ির ব্যবস্থাও করা হয়। দুপুরের পর থেকেই এলাকার যুবকরা ইফতার তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগাভাগি করে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করে রোজাদারের সামনে ইফতারি পৌঁছে দেন।
এমনি কয়েকজন যুবক নারায়ণপুর সাহেব বাজার জামে মসজিদের ইফতার তৈরির কাজে নিয়োজিত। কথা হয় ইব্রাহিম প্রধান, মমিন ও আবু নাছেরের সাথে। তারা জানান সারাদিন রোজা রেখে দুই-তিন শ’ মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করতে কোন কষ্টই হয় না; বরং এ কাজে যে আনন্দ তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। তারা আরও জানান, আমরা এ কাজ করে থাকি একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য।
কথা হয় একজন রোজাদারের সাথে। তিনি জানান, মসজিদে অনেকের সাথে অনেক আইটেম দিয়ে ইফতার করার আনন্দটাই আলাদা। তাছাড়া এখানে মসজিদের ইমাম ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বয়ানের পর বিশেষ দোয়া করে থাকেন। এ জন্যই আমি মসজিদে ইফতার করি।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইফতারের মহা নিয়ামত লাভের সুযোগ দান করুক।