রাজরাজেশ্বরে ৩ গরুসহ গবাদী পশু পুড়ে ছাই

এ কেমন শত্রুতা!

স্টাফ রিপোর্টার
চোখের সামনে জীবন্ত গরু ও হাস-মুরগী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ডাক-চিৎকার, নদীর পানি দিয়ে রক্ষার আগেই এসব প্রাণিগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আরো পুড়ে গেছে পুরো গোয়াল ঘর ও হাস-মুরগীর ঘরটি। আগুনের লেলিহান শিখার কারণে অসহায়ের মত ছিলেন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র কৃষক শরবত আলী প্রধানিয়া।
এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার মধ্যরাতে চাঁদপুরের নদীবেষ্টিত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুগাদী গ্রামের মাঝি কান্দির শরবত আলী প্রধানিয়ার বাড়িতে। এসময় আগুনে জীবন্ত তিনটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং আরো ছয়টি গরুর শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। পূর্ব শত্রুতাবশত এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি তার। গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে বাড়িতে গরুর শোকে ওই কৃষক পরিবারে কান্নার রোল দেখা যায়।
জানা যায়, কৃষক শরবত আলী মধ্যরাতে গরুর ডাক শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে গোয়াল ঘরে আগুন দেখতে পান। তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ততক্ষণে ৩টি গরু এবং গোয়াল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত শরবত আলী প্রধানিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, এদিন রাতে আমাদের গোয়ালঘরে হঠাৎ আগুন লাগে। এতে আমাদের ৩টি গরু পুড়ে মারা যায় ও আরো ৬টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া অনেকগুলি মুরগী আগুনে পুড়ে অঙার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভাবছিলাম এই গরুগুলো বিক্রি করে দুইটা মেয়ের বিয়ে দেব। গরুগুলোকে মেরে ফেলায় মেয়েগুলোরে কী দিয়ে খরচ করে বিয়া দিব।
খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজি হযরত আলী বেপারী। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া ঘটনার সাথে কারো জড়িত থাকার খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

১১ জুলাই, ২০২৪।