হাজীগঞ্জ ব্যুরো
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সোর্স সন্দেহে শাহরাস্তিতে মো. শাখাওয়াত হোসেন (২৭) নামের এক অসহায় যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী পরিবার ও তাদের লোকজনেরা। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের গুলপুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত শাখাওয়াত হোসেন ওই গ্রামের জুমা বাড়ির দুলাল বেপারীর ছেলে। সে বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এর আগে ডিবি পুলিশের (জেলা গোয়েন্দা শাখা) অভিযানে কচুয়ার উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের খাজুরিয়া লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকা হতে মাদক ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন (২৫) ১০পিচ ইয়াবাসহ হাতে-নাতে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীমা আক্তারসহ সঙ্গীয় ফোর্স। মাদক ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন খাজুরীয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আবুল কালামের ছেলে।
আহত যুবক শাখাওয়াত হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার মাদক ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। এই ঘটনায় আরিফের ভাইয়েরা আমাকে পুলিশের সোর্স সন্দেহ করে। এ দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পরে আরিফের ভাই রাজু ও সুমনসহ ৯ জন লোক দুই সিএনজি (স্কুটার) যোগে আমাদের এলাকার ব্রীক ফিল্ডের সামনে এসে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমাদের এলাকার দুইজন লোক দেখে যায় এবং তারা আমার পরিবারের সদস্যদের জানায়।
তিনি বলেন, তারা আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর গলা চেপে ধরে হকস্টিক দিয়ে মারধর এবং কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। এ ছাড়াও রড গরম করে আমার শরীরের লাগিয়ে দেয়। পরে আমার পরিবারের লোকজন দেখে তারা পালিয়ে যায়। এরপর আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেই। তাদের ভয়ে রাতে আমি হাসপাতালে না থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে ছিলাম। এরপর শুক্রবার সকালে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হই। এ সময় কান্না ও ভয়জড়িত কণ্ঠে শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আহত শাখাওয়াত হোসেনের নিকটাত্মীয় মোস্তফা কামাল জানান, হামলাকারীরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিষয়টি আমি কচুয়া আসনের সাংসদ মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি। শাখাওয়াত সুস্থ হলে সে আইনের আশ্রয় নিবে বলে তিনি জানান।
এদিকে হামলাকারী রাজু ও সুমনকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
০৬ এপ্রিল, ২০২১।