জনসাধারণের চরম ভোগান্তি
সাহেদ হোসেন দিপু
হাইমচরে স্মার্ট কার্ড নিতে এসে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন উপজেলার জনসাধারণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সবাই পাচ্ছেন না স্মার্ট কার্ড। কাউকে আবার পাঠানো হচ্ছে উপজেলায়, উপজেলা থেকে দুর্গাপুর স্কুল মাঠে। এছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পরেছেন অনেকেই। কিছুক্ষণ বিশ্রামে রাখার পর ৮ জনকে নিতে হয়েছে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হিট স্ট্রোকও করেছেন বলে জানা গেছে। তবে নারীরাই বেশি অসুস্থ হয়েছেন।
জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ভোটার হয়েছেন এমন ৬ ইউনিয়নের ৭৫ হাজার ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় ৯ সেপ্টেম্বর থেকে। উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ সম্পন্ন করেন। নির্দিষ্ট সময়ে যারা স্মার্ট কার্ড নিতে পারেনি তাদের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে কার্ড বিতরণের ঘোষণা দেয়া হয়। বেশিরভাগই মানুষ কাজে না গিয়ে হাতে দুই-এক ঘণ্টা সময় নিয়ে কার্ডের জন্য আসেন। আবার কেউ রিকশা, অটোরিকশা চালানো বন্ধ করে স্মার্ট কার্ড নিতে যান। কিন্তু এইসব কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষের কার্ড নিতে এসে ভোগান্তির শেষ ছিল না। একই দিনে পুরো উপজেলার মানুষকে একসাথে কার্ড দেয়ার ঘোষণার ফলে হাজার-হাজার মানুষ এসে ভিড় করে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পরেন বেশকিছু নারী-পুরুষ। এদের মধ্যে ৮ জন হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ৫ জন বাড়ি চলে গেলেও ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্মার্ট কার্ড নিতে আসা মহজমপুর গ্রামের বশির জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী একদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে আসেন স্মার্ট কার্ড নিতে। সকাল ৮টায় এসে দেখেন কার্ড নিতে আসা মানুষের ভীড়। অনেক চেষ্টা করে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে স্মার্ট কার্ড পেলাম। এমন জানলে ঢাকা থেকে এ কার্ড নিতে আসতাম না।
হাইমচর ইউনিয়নের সুমন জানান, স্মার্ট কার্ড নিতে এসে মহাবিপদে পড়েছি। এখানে একদিনে পুরো উপজেলার মানুষের কার্ড বিতরণ করছে। উপজেলার সব মানুষ এসেছে। লাইনের কোন শৃংখলা নাই, হুরাহুরি করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। গরমে অতিষ্ঠ হয়েও অনেকে অসুস্থ হয়েছে। বলতে গেলে নির্বাচন অফিসের অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তিতে পরেছে মানুষজন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, প্রথমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে স্থানীয়ভাবে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) ছিল আমাদের স্থানীয়ভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের শেষ দিন ছিল। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ চলমান থাকবে। মানুষ ভেবে নিয়েছিল আজই শেষ দিন। তাই মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। আহত কিংবা অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
০১ অক্টোবর, ২০২৪।