হাজীগঞ্জে আবারো ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারী আটক

১৩ দিনে ২৮ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ৬

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
এক দিনের ব্যবধানে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে আবারো ১০ কেজি গাঁজাসহ মো. সুমন মিয়া রমজান (৩১) নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন এনায়েতপুর সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাকে গাঁজাসহ হাতে-নাতে আটক করা হয়।
আটক মাদক কারবারী মো. সুমন মিয়া রমজান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের গুলগুইল্লা বাড়ির মৃত দুলাই মিয়ার ছেলে। এদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় এবং আজ বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদিন দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের এনায়েতপুর সাইনবোর্ড এলাকার মদিনা সিএনজি এন্ড টিভিএস গ্যারেজের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ থানার এসআই প্রভাকর বড়ুয়া। এসময় ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারী মো. সুমন মিয়া রমজানকে আটক করা হয়।
এর আগে গত রোববার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে আলীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ কুমিল্লা জেলার মো. রুহুল আমিন (৩৪) ও মো. রাজা মিয়া (৩০) নামের দুই মাদক কারবারীকে আটক এবং গত বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সুদেব বেপারী (২৫) নামের পটুয়াখালী জেলার এক মাদক কারবারীকে ২ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে মো. শরীফ হোসেন (৪০) নামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এক মাদক কারবারীকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। এসব মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে পুলিশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, আটক মাদক কারবারী মো. সুমন মিয়া প্রকাশ রমজানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। তিনি জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স। তাই পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান এবং তথ্য দাতার নাম গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২২।