বালুবাহী খোলা ট্রাকসহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
নিস্তরঙ্গ ছুটির দিন উপলক্ষ হয়ে আসে উপজেলাকে অন্য চোখে দেখার। তাই বেড়িয়ে পড়েছিলাম রাস্তার ধারে, দূর ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তায়। ফিরতি পথে চোখ পড়লো খোলা ট্রাকে বালি পরিবহনের এ দৃশ্য। অসংখ্য অভিযোগ আগেও পেয়েছি। দু’পাশের বালি উড়ে যাচ্ছে রাস্তায়, পথচারীদের চোখে মুখে, তবু কোন বিকার নেই দূরন্ত বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা ট্রাক চালকের।
বিকেল গড়িয়ে সাঁঝ বেলা এ ট্রাকের খোঁজেই কাটলো। কাউকে ধরা হলো পেছন পেছন ছুটে, কাউকেবা স্তূপীকৃত বালির মহালে আঁড়ি পেতে, কোথাওবা রাস্তার ধারে অপেক্ষাতে। গত শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫টি ট্রাককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রথমবারের মত ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় মূলত সচেতনতাই উদ্দেশ্য ছিল। এ অভিযান কঠোর থেকে কঠোরতর হবে আগামিতে।
বিষয়টি হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসনের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের আইডি ‘ইউএনও হাজীগঞ্জ’ এর এক পোস্টে তুলে ধরেন। এদিন তিনি দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইনে ৪টি মামলায় ১০ হাজার টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৭ টি মামলায় ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম ট্রাকের চালক ও জরিমানাকৃত ব্যবসায়ীদের সতর্ক ও সচেতনতার লক্ষ্যে দিক-নির্দেশনা প্রদান করা করেন। এসময় হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. ইউনুস মিয়াসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালীন স্থানের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
০৪ জুলাই, ২০২২।