হাজীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই

নিঃস্ব হয়েছেন ৭ পরিবার

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটের ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর পুড়ে নিঃস্ব হয়েছে ৭ পরিবার। গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কংগাইশ এলাকার আটিয়া বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা হলেন- ওই বাড়ির মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মনির হোসেন, মো. শরীফ হোসেন ও মো. সোহাগ হোসেন, মো. ওমর আলীর ছেলে আমিন মিয়া, মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে হারুন অর রশিদ ও আব্দুল মান্নান এবং আবু তাহেরের ছেলে এমরান হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ দিন রাতে মনির হোসেনের বসতঘরে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তেই চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এরমধ্যে ৫টি বসতঘর, ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, স্বর্ণালংকার, দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন। তিনি তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের খাদ্যসামগ্রী কেনার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এছাড়া বুধবার দুপুরে স্থানীয় কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও লবণসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। এদিকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করার জন্য পৌরসভা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা ও সহযোগিতার আবেদন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মনির হোসেন জানান, আগুনে তার বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়। এই ঘরে তিনি ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ আরো দুই ভাই বসবাস করেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আর্থিক সামর্থ না থাকায় তারা তিনভাই মিলে ঘরটি যৌথভাবে করে নির্মাণ করে বসবাস করছেন। কিন্তু আগুনে তাদের নিঃস্ব করে দিলো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, পৌরসভা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পেয়েছি। সরকারি সহযোগিতা প্রদানে এই তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১।