হাজীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন

হাজীগঞ্জ ব্যুরো
হাজীগঞ্জে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদনবিহীন গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে বেসামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট ৪ দিনব্যাপী উপজেলার ২শ’ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে গত রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) এই বাছাই কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওইদিন ১ থেকে ৮০ জন, ৮ ফেব্রুয়ারি ৮১ থেকে ১৩৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৩৬ থেকে ১৯০ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১ থেকে ২৫১ পর্যন্ত এবং বাহিনী গেজেটের বাতিলকৃত ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা বা প্রতিনিধির উপস্থিতিতে যাচাই-বাছাই করা হয়।
উল্লেখিত ২৫১ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ৫১ জনের নাম যাচাই-বাছাই পূর্বক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়/ জামুকার ওয়েবসাইট এবং আনসার ও ভিডিপি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ায় তারা উপজেলা কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাইয়ের বহির্ভূত ছিল বলে জানা গেছে। বাকি ২শ’ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে উপজেলা কমিটি।
৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি (সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি) মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, সদস্য (জামুকা মনোনীত প্রতিনিধি) মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ হোসেন, সদস্য (জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি) মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া।
এ বিষয়ে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি (সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি) মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যাচাইয়ে আমরা যা এবং যেসব তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়েছি, তা জামুকায় পাঠিয়ে দিবো।
যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বাছাই কমিটির সদস্যবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা এবং বাছাই কার্যক্রমে উপস্থিত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান, সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ হয়েছে। জামুকার নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।