হাজীগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

সারাদেশে হত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্লাস্টিকের পাইপ ও লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে বারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারস্থ হাজীগঞ্জ সেতুর পশ্চিম পাড়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এসময় অনেক শিক্ষার্থীর হাতে গুলতি দেখা গেছে।
এর আগে ‘স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক সারাদেশে নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল’ উল্লেখ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে হাজীগঞ্জের সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চত্ত্বর’ থেকে বের হয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূর্ব বাজার এসে হাজীগঞ্জ সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি দলের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলি করে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। আর পুলিশ নিরিহ শিক্ষার্থীও সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। হাজীগঞ্জেও সরকারি দলের লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে আছি এবং থাকবো।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার আহবান জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সড়ক অবরোধে নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবী উপস্থাপন করে সড়কে একঘন্টা অবস্থানের কথা জানান। পরবর্তীতে মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা একঘণ্টা সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় তাদের বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জনপথ। একঘণ্টা শেষে পুলিশ ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা চলে যায়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে হাজীগঞ্জ বাজারে অবস্থান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব শরীফ মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক রাজন চন্দ্র সাহা, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুকুর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বিসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

০৪ আগস্ট, ২০২৪।