অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবায়ন নেই


স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদর উপজেলার অনুমোদনহীন নার্সারী, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরী স্কুলের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা এ পর্যন্ত নেয়নি সদর উপজেলা পরিষদ। গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরিষদের মাসিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন চাঁদপুর পৌর এলাকা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে যত্রতত্র ব্যাঙ্গের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে অনুমোদনহীন নার্সারী, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরী স্কুল গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে নেই প্রশিক্ষিত মানসম্মত শিক্ষক ও শিক্ষার পরিবেশ। অথচ বিভিন্ন অজুহাতে অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা। অন্যদিকে এর প্রভাবে কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংকট দেখা দিয়েছে।
সদর উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদে বিগত সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কিন্ডারগার্টেনের নামে অবৈধ ব্যবসা করছে কিছু লোক। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান জামায়াতপন্থী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতা এতই বেড়েছে যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারে সেজন্যও অনুুরোধ করা হয়। সভায় এ বিষয়ে গঠিত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ও সদস্য সচিব (উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) কে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিষদের পরবর্তী মাসিক সভায় জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতিকে (জেলা প্রশাসক) বিষয়টি জানাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (নাজিম) দেওয়ান বলেন, কিছু কিন্ডারগার্টেন আমাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করতে আসে বিভিন্ন সময়। আমি তাদের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কেউই অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাই উপজেলা পরিষদের বিগত সভায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আশা করবো, অন্যান্য উপজেলায়ও এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সিদ্ধান্ত নেয়ার ১ মাস কেটে গেলেও কোন নার্সারী, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরী স্কুলসহ কোন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। সচেতন মহল মনে করেন সভা ও সমাবেশে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শেষ নয়। তা বাস্তবায়ন করাটাই মূল কাজ।