অবকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে ষাটনল পর্যটনকেন্দ্র

পর্যটন এলাকায় মুরগির খামার

মনিরুল ইসলাম মনির
মতলব উত্তরের ষাটনল পর্যটনকেন্দ্রে সারা বছর পর্যটকদের কমবেশি সমাগম থাকলেও শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনে ও শীত মৌসুমে প্রতিদিনই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু অবকাঠামোর স্বল্পতা ও পর্যটনকেন্দ্রের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পোলট্রি খামারের

SONY DSC

কারণে ধুঁকছে এক সময়ের জনপ্রিয় এ পর্যটন কেন্দ্রটি। পর্যটন কেন্দ্রটির অবকাঠামোর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, তদারকির অভাব ও অপব্যবহারের কারণে গুরুত্ব হারাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রটির।
জানা যায়, ২০০০ সালে সরকারিভাবে এটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ঐ বছর ২৩ এপ্রিল মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনলে পর্যটনকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)। পর্যটন কেন্দ্রের জন্য মেঘনা নদীর পাড়ে প্রায় ১০০ একর সম্পত্তির ওপর পিকনিক স্পট নির্মাণ করার জন্য চাঁদপুর জেলা পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। জেলা পরিষদ গত ২০ বছরে একটি করে বিশ্রামাগার, রন্ধনশালা, ড্রেসিং ভবন ও ডাইনিং ভবন নির্মাণ করে। এছাড়া কয়েকটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালের শেষের দিকে ষাটনল পর্যটনকেন্দ্রে লাগোয়া চারটি পোলট্রি খামার গড়ে ওঠে। তারা খামারের বিষ্টা পর্যটন এলাকায় ফেলায় দুর্গন্ধের কারণে কমছে পর্যটক।
লিয়াকত হোসেন, ইমাম হোসেনসহ কয়েকজন দোকানদার জানান, সারা বছর কম-বেশি লোক এলেও বর্তমানে পোলট্রি খামারের দুর্গন্ধের কারণে ও পর্যাপ্ত সুবিধাদির অভাবের পর্যটক কম আসছে। এর ফলে আমাদের ব্যবসা এখন খারাপ। অনেকে এ স্থান থেকে দোকান গুটিয়ে নিচ্ছে। খামারি বুলবুল জানান, আমরা এখানে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছি এখন পোলট্রি খামার বন্ধ করে দিলে কি কাজ করব?
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন বলেন, ষাটনল পর্যটন এলাকার পাশে গড়ে উঠা চারটি পোলট্রি খামারের রেজিস্ট্রেশন নেই। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও লোকবলের স্বল্পতার কারণে আমরা তা করতে পারছি না।
পর্যটন কেন্দ্র লাগোয়া পোলট্রি খামার গড়ে উঠা ও অবকাঠামোর বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ জানান, ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। আর পর্যটন কেন্দ্র ও পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে না।
২৬ জানুয়ারি, ২০২১।