অর্থনৈতিক জোন বাড়াতে পারলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে : জেলা প্রশাসক

সজীব খান :
‘যুবদের জাগরণ, বাংলাদেশের উন্নয়ন’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুর জাতীয় যুব দিবস উদযাপন হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন, প্রশিক্ষণ সনদ, যুব ঋণ ও যুব কল্যাণ তহবিলের অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় আশিকাটির যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে র‌্যালি বের করা হয়।
র‌্যালি শেষে যুব উন্নয়ন সম্মেলন কক্ষে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যুবকরাই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিকে, তাই সবাই যুবকদের নিয়েই স্বপ্ন দেখে, যুবকদের প্রতি তাকিয়ে থাকে। বর্তমান সরকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এ সরকারের আমলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি যুব বয়সে সঠিক সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে পড়ে, বৃদ্ধ বয়সে সে তার ভুলগুলো বুঝতে পারে। বাংলাদেশে ওয়ান থার্ড যুবক রয়েছে। যুবকদের নিয়েই স্বপ্ন দেখতে হবে। সরকারের অঙ্গীকার ছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া, ১০ টাকা দরে চাল দেয়া, সেসব প্রতিশ্রুতিগুলো সরকার বাস্তবায়ন করছে, মানুষ এখন ১০ টাকা দরে চাল পাচ্ছে। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্যক্রম চালু করেছ। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। এজন্য যুবকদের সঠিকভাবে যুব বয়সকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বেকার যুবকদের বেকারত্ব দূর করার জন্য যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে দ্রুত বেকারত্ব দূর হবে। এজন্য বেকার যুবকদের যুব প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশে শিল্প কারখানা গড়তে তুলতে হবে। দেশে শিল্প কারখানায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যুব উন্নয়নের প্রতিটি থ্রেডই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি কাজ যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে করা যায়, তাহলে সফলতা অনিবার্জ।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতি বছর সাড়ে ৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠাচ্ছে। সরকারের ৮ বছরে প্রায় ৫০ লাখ লোক বিদেশে পাঠিয়েছে। দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ লোক বিদেশে রয়েছে। সরকার যে উন্নয়নের জাল বিছিয়ে দিয়েছে, এ ধরনের উন্নয়ন আগামি ৫ বছর অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ডিজিটাল সম্পন্ন ভাবে বাংলাদেশ হবে। সরকারের চিন্তা হচ্ছে, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে আরো ৩০টি অর্থনৈতিক জোন বৃদ্ধি করা। অর্র্থনীতি জোন বাড়াতে পারলেই দেশে কোটি কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এজন্য সরকারের উন্নয়নগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাঙালিরা দ্রুত পরিবর্তন করতে পারে। দ্রুত পরিবর্তন করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক আহসানুজ্জামান সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আ. রশিদ সর্দার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কো-অর্ডিটেনর রেজাউল হক, জেলা যুব উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক শেখ মহসিন, যুব সংগঠক জহিরুল ইসলাম, মো. হানিফ, শাহনাজ কাউছার, প্রশিক্ষণার্থী নাহিদা সুলতানা, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নাজমুল হক।