
এস এম সোহেল
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেছেন, দেশের যতগুলো জেলায় উন্নয়ন মেলা হয়েছে নিঃসন্দেহে চাঁদপুর তার মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুর সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছেন তা যেনো আমার মনের কথা। সারা বাংলাদেশের মধ্যে চাঁদপুর একটি পরিচিত জেলা। আমি বরিশালের ছেলে, যে লঞ্চে নিজের জেলায় যাই না কেনো চাঁদপুর ঘাট ধরতেই হয়।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ঐ কথাগুলো বলেন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই এই উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জাতির জনক যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন তা’ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে তা জানান দেয়ার জন্য উন্নয়ন মেলা করা হচ্ছে। এখানে এসে মানুষ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, চাঁদপুর একটি ব্র্যান্ড এবং স্মার্ট জেলা- এ ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের সহকর্মী জেলা প্রশাসকের সঠিক নেতৃত্বে চাঁদপুরের উন্নয়নে বহু অগ্রগতি হয়েছে। আজকের এই উন্নয়ন মেলায় এসে আমি আনন্দিত হয়েছি। খুব চমৎকার ও গোছানো একটি মেলার আয়োজন করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, চাঁদপুরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- চলছে। ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে চাঁদপুরে দৃশ্যমান অনেক উন্নতি হয়েছে। চাঁদপুর শহরের প্রতিটা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ চলছে। এই কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে চাঁদপুর সত্যিকার অর্থে একটি ব্র্যান্ড জেলায় রূপান্তরিত হবে।
জেলা কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মো. সফিকুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।
আলোচনা শেষে মেলায় অংশ নেয়া স্টল এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও দু’জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে। মেলায় অংশ নেয়া স্টলগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রতিবন্ধী সেবা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয় পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও উদ্দীপন চাঁদপুর সদর।