চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে
মানিক দাস :
চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১ মাসে জরুরি বিভাগে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এইসব মৃত্যু হাসপাতালের অপমৃত্যুর রেজিস্ট্রি খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জরুরি বিভাগে যেসব রোগীর মৃত্যু হয় তাদের তালিকা অপমৃত্যুর খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল আহসান আসিব জানান, জরুরি বিভাগে শুধুমাত্র অতি গুরুতর রোগীদের আনা হয়ে থাকে। এই গুরুতর রোগীর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, বিষপাণ, বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষ, পানিতে পড়ে যাওয়া শিশুসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের এনে ভর্তি করানো হয়। আর এই ভর্তি করানোর আগে ও পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় যেসব রোগী মারা যায় তাদের নামের তালিকা এই অপমৃত্যুর রেজিস্ট্রি খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে গতকাল পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৩৭ জন ব্যক্তির অপমৃত্যু হয়েছে। এসব অপমৃত্যুর মধ্যে রয়েছে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
মৃত ৩৭ জন হলো- ধানুয়ার নুসরাত (দেড় বছর), গল্লাকের অভি (দেড় বছর), পয়লালির কুদরত আলী (৪৮), মাস্টার বাজার এলাকার খাদিজা (১৮ দিন), রাজারগাঁয়ের জুনাইদ (২), বাশরার নুরজাহান (৫৫), রূপসার রুনা বেগম (৩২), সাহেব বাজারের তাহের গাজী (৫০), মৈশাদীর হোসাইন সাড়ে ৩, চেয়্রাম্যান ঘাটের খাদিজা (৭০), ব্রাহমসাখুয়ার সখিনা বেগম (৪৩), চিরাচরের বশির উল্লাহ (৬৫), রূপসার আরিফা ইসলাম (১০), রাজারগাঁওয়ের আব্দুল মান্নান খান (৭০), জিটি রোডের সিয়াম (৮ মাস), হাইমচরের মনির হোসেন (৩৮), বাঘড়ার আমিন গাজী (৭০), আশিকাটির দেলোয়ার বেপারী (৬৫), ঘড়িয়ানার আহমেদ আলী (৭৯), গুলবাহারের শরীফ (৫), পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের জাহিদ (৬), মৈশাদীর আকলিমা (৮), শাহতলীর রবিউল (১২), হাজীগঞ্জের ধড্ডার মরিয়ম (৫), ধানুয়ার হোসেন মজুমদার (৫৫), রাজারগাঁওয়ের আছমা বেগম (২২), রুমা (৪ দিন), আশিকাটির মিনহাজুল (১১), কল্যান্দীর ফেরদৌস তালুকদার (৪২), বহরিয়ার মন্নান পাঠান (৪৫), চান্দ্রার শাওন (১৯), মুন্সিরহাটের সাইফুল (দেড় বছর), নিশ্চিন্তপুরের কামুল (৫), বরদিয়ার শিশু, রহমতপুর কলোনীর রিয়া (দেড় বছর) ও সখিপুরের আব্দুস সোবহান (৪০)।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদুন নবী মাসুমের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোগীগুলোকে আনা হয়। এখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া শেষে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যত্র পাঠানো হয়। এসময়ের মধ্যে যেসব রোগী বিশেষ করে সংঘর্ষ, সড়ক দুর্ঘটনা, বিষপান, পানিতে পড়া শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ভর্তি করানো হয়। এই ভর্তির মধ্যে যেসব রোগী মারা যায় তাদের নামের তালিকা অপমৃত্যুর খাতায় তাৎক্ষণিক লিপিবদ্ধ করা হয়।