ইলশেপাড় রিপোর্ট
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ২২ বছর আগে ওমানে পাড়ি জমান আতিকুজ্জামান। মতলব উত্তর থানার এখলাছপুর গ্রামে আতিকের বাড়ি। অন্য দশজনের মতো তারও প্রবাস জীবন শুরু হয় সাধারণ একজন শ্রমিক হিসেবেই।
প্রথমে শেল পেট্রোল পাম্পের একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তার পদোন্নতি হয় সুপারভাইজার হিসেবে। দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি চাকরি করেন এই একই কোম্পানিতে। এরপর নিজের সততা ও সাহস নিয়ে নেমে পড়েন পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়।
তার সততা ও দক্ষতার কারণে ব্যবসা শুরু করার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাধারণ শ্রমিক থেকে এখন তিনি ২টি পেট্রোল পাম্প পরিচালনা করছেন। ওমানের প্রসিদ্ধ শহর আল হিল ও জিফনিন শহরে তার পেট্রোল পাম্প রয়েছে।
সাধারণত ওমানের সব জায়গাতেই শেল পেট্রোল পাম্প, ওমান ওয়েল ও আল মাহা পেট্রোল পাম্প, এই তিনটি কোম্পানিই তেল সাপ্লাই দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশী ২টি পাম্প পরিচালনা করছেন তার এমন সফলতায় গর্বিত ওমান প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
আতিকুজ্জামান যেমন একজন সফল ব্যবসায়ী, ঠিক তেমনই একজন সফল অভিভাবক। স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে বেশ সুখে-শান্তিতেই বসবাস করছেন ওমানে। একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ হিসেবে ছেলেমেয়েদের স্কুল ছুটি হলেই চলে যান পরিবারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তিনি বাংলাদেশ সোস্যাল ক্লাব ওমানের ট্রেজারার হিসেবে দীর্ঘ ৪ বছর অতি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওমান আসতে ইচ্ছুক এমন বাংলাদেশীদের সতর্কতার সঙ্গে প্রবাসে পাড়ি জমানোর আহ্বান জানিয়েছেন আতিকুজ্জামান।
১০ জুলাই, ২০১৯।