করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।

বিশ্বে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও চার লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ কোটি ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় পৌনে ১৮ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই যুক্তরাষ্ট্রে।

এরই মধ্যে দেশে দেশে করোনার নতুন রূপ শনাক্ত হচ্ছে। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানে এ ধরনের করোনা রোগী পাওয়া গেছে। ফলে এসব দেশে সংক্রমণ আরও তীব্র হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে ইতালিতে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। দেশটিতে ২৯ বছর বয়সী একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম টিকা দেয়া হয়। খবর বিবিসি ও এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

অ্যান্থনি ফাউসি সিএনএনকে আরও বলেছেন, করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহ হবে- এই উদ্বেগের কথা আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও শেয়ার করেছি। আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।

এর আগে বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, জাতির অন্ধকার দিনগুলো আমাদের পেছনে নয়, সামনে রয়ে গেছে। এ পর্যন্ত দেশটির ২০ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছে। বছরের শেষ নাগাদ দুই কোটি লোক টিকা পাবে বলে মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফাউচি বলেন, এপ্রিল নাগাদ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের টিকা দেয়ার কথা তারা সবাই পেয়ে যাবেন।

আফ্রিকা মহাদেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকায়। সরকারি হিসেবে দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের ঠিক পরের দিন শনাক্তের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতাল এবং মেডিকেল সেন্টারগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনার এই নতুন ধরনটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধে আরও কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম হটস্পট ছিল। আফ্রিকা মহাদেশের মোট আক্রান্তের অর্ধেকই এই দেশটিতে।