করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়


এইচ কে নাথ
রোগটি ছোঁয়াচে এবং রোগাক্রান্ত ব্যাক্তি হতে এর বিস্তার ঘটে। এটি ফুসফুস আক্রান্তকারী ভাইরাস। নাক ও মুখ দিয়ে এ রোগের জীবাণু প্রবেশ করলে রোগটির বিস্তার লাভ করে।
সরকারকে জরুরিভিত্তিতে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে মাক্স ও প্রয়োজনীয় ঔষধের ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলে রোগাক্রান্তদের মাঝে ডাক্তারের ডেসক্রিপশনের ঔষধ সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আইসোলেটেড জায়গায় রেখে রোগীদের চিকিৎসার প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্স নিয়ে টীম গঠন করে এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আটঘাট বেঁধে প্রস্তুত হতে হবে। প্রতিটি বিমানবন্দরে বিদেশ হতে আগতদের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে তবে দেশের ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে। প্রচার-প্রচারণা করে জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। আতংকিত না হয়ে সচেতন হয়ে নাক-মুখের সাবধানতার জন্য হুঁশিয়ার করাতে হবে। রোগ বিস্তারের সব দরজা যাতে বন্ধ হয় তার জন্য সতর্ক করাতে হবে। প্রতিরোধমূলক চেষ্টা চালাতে হবে। জনগনের সাহস ও মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। ঔষধের নিশ্চয়তা যোগাতে হবে।
রোগাক্রান্তদের সুচিকিৎসার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য এখন হতে তৈরী থাকলে আশা করি এ রোগের হাত হতে আমরা রক্ষা পাবো।
-মুক্তিযোদ্ধা রোটারিয়ান এইচ কে নাথ, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।